জোলা সম্প্রদায়ের কথা শুনলেই মাথায় ঘোরে কবিরের নাম। হিন্দু বিধবার গর্ভে জন্মগ্রহণ করে পরিত্যক্ত হন তিনি। পরবর্তীকালে পালিত হন মুসলমান জোলা দম্পতির কাছে। সাধক কবি চেয়েছিলেন জাতপাত দূর করে ভারতবর্ষকে একসূত্রে গাঁথতে। ছোট কবিতা বা ‘দোঁহা’ আকারে তিনি বলে গেছেন সে বাণী। তার মূলমন্ত্র ছিল, ‘জন্মের সময় কেউ শূদ্র হয়ে জন্মায় না; নিজেদের পরিচয় নিজেরাই…
আর্টিকেল
তারপর ঈশ্বর বললেন, “মানুষের নিঃসঙ্গ থাকা ভালো নয়। আমি ওকে (আদম) সাহায্য করার জন্যে ওর মতো আরো একটি মানুষ তৈরি করব।”… ঈশ্বর মানুষটির পাঁজরের সেই হাড় দিয়ে তৈরি করলেন একজন স্ত্রী। তখন সেই স্ত্রীকে প্রভু মানুষটির সামনে নিয়ে এলেন। সেই মানুষটি বলল, “অবশেষে আমার সদৃশ একজন হলো। আমার পাঁজর থেকে তার হাড়, আর আমার শরীর…
প্রাচীন জাপানের ঐতিহ্য এবং রীতিনীতি সম্পর্কে প্রাপ্ত সমস্ত তথ্যই বর্তমানে পৌঁছেছে দুইটি সূত্র মারফত। প্রথমটা কোজিকি বা প্রাচীন ঘটনার বিবরণী, যাকে ফুরুকোতোফুমি নামেও পাঠ করা হয়। ৭১১-১২ খ্রিষ্টাব্দের দিকে লিখিত এই বিবরণীই এখন অব্দি সবথেকে প্রাচীন। জাপানের ৪৩তম শাসক সম্রাজ্ঞী গেনমেইয়ের নির্দেশে পণ্ডিত ওনো ইয়াসুমারো লিখেছিলেন। উপকথা, কিংবদন্তি, গান, বংশতালিকা এবং মানুষের মুখে বয়ে বেড়ানো আধা-ঐতিহাসিক বিষয়াদির…
জাপানি সংস্কৃতির শিকড় খুঁজতে গেলে ভারতীয় ঐতিহ্য বের হয়ে আসে। কমপক্ষে বিশ জন ভারতীয় চরিত্র ঈষৎ বিবর্তিত হয়ে জাপানে উপাসিত হয় বর্তমানেও। সরস্বতী, গণেশ এবং ব্রহ্মার মতো দেব-দেবীর ধারণা চীন হয়ে জাপানে প্রবেশ করে। অন্য কথায় ভারতীয় ধারণাই চীনা নামের মোড়কে প্রবেশ করে। এমনকি কিছু কিছু জাপানি মন্দিরে সংস্কৃত ভাষা শেখানোর ঐতিহ্যও জারি আছে। ভারত…
তখনো মানুষ স্থায়ী সভ্যতা গড়ে তোলেনি। যাযাবর জীবনের স্বাদকে করেনি অগ্রাহ্য। কিন্তু ভাবতে শিখেছে নিজের অস্তিত্ব নিয়ে। কেবল যন্ত্র আবিষ্কার করেই থামেনি। তা তো অন্যান্য নিকটাত্মীয় প্রাণীর মধ্যেও দেখা যায়। পাথর দিয়ে বাদাম থেতলানোর কাজ বানরও পারে। মানুষ যন্ত্র বানানোর যন্ত্র আবিষ্কার করেছে। পাথর দিয়ে তৈরি করেছে শিকারের যন্ত্র। ইতিহাসের আদিতম প্রযুক্তি। ব্যবহার করেছে ধাতব…
পাঁচজন বৃদ্ধ সাধুপুরুষ সামনে থেকে পথ দেখাচ্ছেন। পেছনে অদ্ভুত এক প্রাণী। দেখতে ড্রাগনের মতো হলেও মাথায় শিং। যেন ড্রাগন আর ইউনিকর্নের সম্মিলিত রূপ। চীনা সংস্কৃতিতে একে চিলিন বলে। প্রাণীটা ধীরে ধীরে সামনে এসে অবনত করলো মাথা। তারপর মুখ থেকে বের করে দিলো একটা পাথরের টুকরা। তাতে লেখা, ‘তোমার ছেলে হবে মুকুটবিহীন সম্রাট’। গর্ভবতী ছেংচাই এই…
হাজার বছর ধরে জাপানি সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ধরে রেখেছে ওনি এবং ইউরেই। ওনি হলো মানবসদৃশ অতিকায় আকৃতির শিংওয়ালা দানব। মিথে তাদের হাজির হতে দেখা যায় অনিষ্টকারী হিসেবে। পাপী ব্যক্তি মৃত্যুর পরে নির্দিষ্ট নরকে পতিত হলে ওনিতে পরিণত হয়। হয়ে ওঠে নরকের দেবতার মতোই হিংস্র আর নিষ্ঠুর। নরকে তাদের সংখ্যা বেশুমার। তবে দুনিয়ায় থাকতেই যারা পাপের…
প্রাচীন মিশরের দিকে তাকালে অবাক না হয়ে থাকা যায় না। হোক বস্তুগত উন্নতিতে কিংবা জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশে, উভয় ক্ষেত্রেই প্রধান অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে তাদের ধর্ম। বস্তুত মিশরীয় ধর্ম ছিল অনেকগুলো বিশ্বাস আর চর্চার সম্মিলিত রূপ। হাল আমলে মিশরীয় পুরাণ, বিজ্ঞান, চিকিৎসাশাস্ত্র, জাদু, আধ্যাত্মিকতাকে আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করা গেলেও সেই সময়ে এগুলো মিশরীয় ধর্মের ভেতরেই অঙ্গীভূত ছিল।…
খ্রিস্টপূর্ব ৮,০০০ অব্দের দিকে বরফ যুগের সমাপ্তি ঘটে। দ্রুত পরিবর্তন ঘটে পরিবেশের। পরিবর্তন ঘটে শিকার সভ্যতার মানুষদের স্বভাবে। যাযাবর জীবনে ক্লান্ত হয়ে থিতু হতে থাকে নদীর অববাহিকাগুলোতে। পত্তন ঘটতে থাকে স্থায়ী সংস্কৃতির। শুরু হয় কৃষি এবং পশুপালনের যুগ। সভ্যতার ইতিহাসের এটি উত্থান নাকি পতন? শিকার সমাজে স্বল্প শ্রমে বিচিত্র সব খাদ্য সংগ্রহ করা যেত। খাবারের…
দেবতা আন-এর কাছে পবিত্র সংখ্যা ষাট। ফলে হিসাবের পাটাতন দাঁড়ালো ষাট-কে কেন্দ্র করেই। ষাট সেকেন্ডে মিনিট, ষাট মিনিটে ঘন্টা এবং ষাটভিত্তিক বৃত্তের পরিমাপ। হাল আমলেও যার ঐতিহ্য বয়ে বেড়াচ্ছে মানুষ। মেসোপটেমিয় সভ্যতার উত্তরাধিকার কতটা সমৃদ্ধ, তা আরো স্পষ্ট হয় নগরায়ন, চাকা, লেখালেখি, জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, কৃষি, পশুপালনের সূত্র খুঁজতে গেলেই। এস. এন ক্রেমার হিস্ট্রি বিগিনস্ এট সুমের বইতে…
